Posts

কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না কথাটি সত্য নয়।

Image
'কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না' —এই কথাটা পুরোপুরি সত্য নয় । সময় যেহেতু বহমান স্রোতের মতো একটা বিষয় এবং সময়কে আটকে রাখা যেহেতু কোনোভাবে সম্ভব নয়, ফলে একজনের অনুপস্থিতিতে অন্যজনের জীবনের সময়গুলো ঠিকই কাটে বটে, কিন্তু সেই জীবনটাকে কতোটা ‘জীবন’ বলা যায় তা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ। ধরুণ, যার সাথে সংসার করবেন না বলে আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, যার হাতে পৌঁছে গেছে আপনার ডিভোর্স-লেটার, হতে পারে সে চলে যাওয়ার পর জীবন আপনাকে এমন একটা বাস্তবতার সামনে এনে দাঁড় করাবে যেখানে দাঁড়িয়ে আপনি তাকে অসম্ভবরকম মিস করবেন। সবকিছুর বিনিময়ে তাকে ফিরে পেতে চাইবেন । কিন্তু, জীবন সর্বদা সবাইকে ‘দ্বিতীয় সুযোগ’ দেয় না। কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না ঠিকই, কিন্তু কারো কারো জন্য জীবন মন্থর হয়ে পড়তে পারে। বদলে যেতে পারে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। তাই, সম্পর্ক ভেঙে ফেলার আগে সেই সম্পর্কের অনুপস্থিতি আপনার জীবনে কীরকম প্রভাব ফেলতে পারে —সেটা ভাবতে ভুল করবেন না।  — আরিফ আজাদ  

রিজিক কম বেশি হয় কেন?

Image
 রিজিক কমবেশি কেন হয়? পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, জমিনে বিচরণকারী যত প্রাণী আছে, সবার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপরে।  (সুরা হুদ: আয়াত ৬)  রিজিক মানে শুধু খাদ্য সামগ্রী নয়, বরং জীবন-উপকরণের সবকিছু। অর্থাৎ সব প্রাণীর জীবন-উপকরণের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিজেই গ্রহণ করেছেন।  আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু, যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী। ( সুরা শুরা: আয়াত ১৯) রিজিক কমবেশি কেন হয়? কেউ পায় কম, কেউবা বেশি। কেউ ধনী হয়, কেউবা গরীব। এর উত্তরও আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন ; আল্লাহ তায়ালা যদি তার সব বান্দাকে প্রচুর রিজিক দিতেন, তাহলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা (রিজিক) সে পরিমাণ অবতীর্ণ করেন। (সুরা শুরা: আয়াত ২৭) অপর আয়াতে এসেছে, তারা কি তোমার পালনকর্তার অনুগ্রহ বণ্টন করে?( না, বরং ) আমিই তাদের মধ্যে রিজিক বণ্টন করি পার্থিব জীবনে এবং তাদের একজনের মর্যাদা অপরজনের ওপরে উন্নত করেছি; যেন তারা একে অন্যকে সেবক রূপে গ্রহণ করতে পারে। (সুরা জুখরুফ: আয়াত ৩২) আরও এরশাদ হয়েছে, তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে ...

অনেকটা ক্ষুধা আছে, রূচি নাই এমন!

Image
 প্রতিটা রিলেশনে এমন একটা সময় আসে যখন সম্পর্কটা খুব বেশি সাদা সিধে লাগে। কথা বলতে হবে তাই বলা,মিশতে হবে তাই মেশা।  অনেকটা ক্ষুধা আছে, রূচি নাই এমন!  এই সিচুয়েশনটা সম্পর্কের অবসান ঘটায় না বরং মনে করিয়ে দেয় সম্পর্কে কিছুটা অক্সিজেন প্রয়োজন।  কিছু মানুষ আমরা এই সময় উল্টো কাজটা করি। মানুষটার সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে দেই, নিজেকে সময় দিতে তাকে একা করে দেই।  সেই মানুষটাও বার বার কাছে আসতে যেয়ে বিরক্তির কারন হয়ে নিজেকে এক সময় গুটিয়ে নেয় তোমার কাছ থেকে। এই সময়টাই বড্ড ভুল সময়। চুম্বকেরও একটা নির্দিষ্ট সীমানা থাকে যেটকুতে সে কাছে টানে। এই সীমানার বাইরে চলে গেলে ফিরে আসার সুযোগ হয়না। সে সুযোগে হয়ত টেনে নেয় অন্য কেউ!  সেই টানটাই বা কদিনের? একদিন আবার সেই সাদা মাটা তাই তো?   তারচেয়ে বরং অক্সিজেনের অভাবটা বুঝুন, সীমানার কিনারায় গিয়ে ফিরে আসুন। কথায় কথায় বিরক্তি লাগা,সব কিছু পানসে ভাবা,এটা একটা অসুখ। এই অসুখের রোগী আপনি, সে না। যতটা কৌশলে তাকে সরিয়ে দিচ্ছেন ততটা কৌশলে নিজেকে সুস্থ করুন। যতটা বিরক্তি আসবে ততটা শক্ত করে করে জড়িয়ে ধরুন। এক্সাইটমেন্ট জীবনে আসবে- যাবে,কিন্...

রিভেঞ্জ অফ নেচার🥀

Image
 মেয়েটার সাথে ছেলেটার সাত বছরের রিলেশন ছিল। মেয়েটা আমাদের ডিপার্টমেন্টেই পড়তো। নাম মোহনা। ভাইয়ের নাম ছিল শামস। আমাদের হলেই থাকতেন। তিন ব্যাচ সিনিয়র। উনাকে কোনদিন হাসি ছাড়া দেখিনি। এত ভদ্র ছেলে পুরো ক্যাম্পাসে পাওয়া দুষ্কর ছিল। মেয়েটাকে ভালোও বাসতেন পাগলের মতো। প্রায়ই দেখা যেতো ক্যাম্পাসে হাতে হাত রেখে হেটে চলেছেন দু'জনে। আমাদের চোখে চোখ পড়তেই অবশ্য হাত ছেড়ে দিয়ে লাজুক হাসি দিতেন শামস ভাই! মাঝে মাঝেই রাত তিনটা-চারটায় ঘুম থেকে উঠে দেখতাম, হলের করিডোরের এক কোনায় দাঁড়িয়ে ভাই তখনও গুজুর গুজুর করেই চলেছেন!  একটা চাকরির অভাবে সেই সম্পর্কটাই বদলে গেল কী ভীষণভাবে! ততদিনে ভাইয়ের মাস্টার্স পাস করা শেষ। চাকরি পাচ্ছেন না বলে হলে থেকে গিয়েছিলেন আরও দেড় বছরের মতো। মেয়েটা ছেড়ে চলে গিয়েছিল মাস্টার্স শেষের এক বছরের মাথায়। যাবেই না বা কেন, সুন্দরী মেয়ে, বাসায় বিয়ের প্রস্তাব এসেছে, সেই ছেলে আবার প্রসাশনের ক্যাডার। →যাওয়ার আগে মেয়ে বলে গিয়েছিল, "চাকরি পাও না, যোগ্যতা নেই, তো প্রেম করতে এসেছিলে কেন?" ব্রেকাপের পর ভাই প্রায়ই আমার রুমে আসতেন সিগারেট খেতে। হাতে সব সময় কোনো না কোনো বিসিএসের বই থাক...

ভালোবাসার অনুভূতি🥀🖤

Image
 ভালোবাসা এমন একটা অনুভূতি যা মানুষকে বেহায়া,নির্লজ্জ, অপরাধী বানানোর ক্ষমতা রাখে। আত্মসম্মান কার না থাকে? সবারই নিজস্ব আত্মসম্মানবোধ রয়েছে কিন্তু তবুও ভালোবাসার মানুষটার কাছে বার বার কথা বলার জন্য বেহায়ার পদবি গ্রহণ করে পারে। সেই মানুষটির কাছে তার কোনো মূল্য নেই জেনেও বিপরীতমুখী মানুষটাকে বার বার গুরুত্বের শীর্ষে রাখতে জানে। তুচ্ছ কারণে ভালোবাসার মানুষ টি চলে যেতে চাইলে হাজার বার হাতে পায়ে পরতে পারে। কোনো অপরাধ না করেও হারিয়ে ফেলার ভয়ে অনায়াসে ক্ষমা চাইতে পারে। বার বার অবহেলা, অপমান পেয়ে ফিরে আসতে গিয়েও সব সহ্য করে থেকে যেতে পারে।  কেউ সখ করে কারো কাছে মাথা নত করতে চায় না, কারো হাতে পায়ে পরতে চায় না।ভালোবাসা মানুষকে দিয়ে এই সব কিছু করিয়ে নেয়।ভালোবাসা মানুষকে কতই না নির্লজ্জ বানাতে পারে!  ✍️নহলী গ্রন্থকত্র্রী                  mdshahadath319  

Blogger App এসে গেছে!

Image
 আপনাদের জন্য doctrine নিয়ে এসেছে নিজস্ব অ্যাপ ! এখন থেকে ঝামেলা মুক্ত ব্লগ ব্রাউজ করতে এখন ই download  করুন। 

অনার্স ১ম বর্ষ(২০২১-২২) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত!

Image
অনার্স ১ম বর্ষ(২০২১-২২) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ক) অনার্স প্রথম বর্ষ ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষের ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুর হবে ২২ মে থেকে এবং আবেদনের শেষ তারিখ ০৯ জুন রা ১২ টা পর্যন্ত।    খ) আবেদন করতে যা যা দরকার - ১. এসএসসি ও এইচএসসির রেজিষ্ট্রেশন ও রোল নাম্বার। ২. সচল মোবাইল নম্বর  ৩. পাসপোর্ট সাইজ এক কপি ছবি ৪. আবেদন ফি ২৫০ টাকা ৫. দোকানদারের ফি ৫০/১০০ টাকা (কম্পিউটার ফি) গ) আবেদন করতে সর্বনিম্ন কত পয়েন্ট লাগবে? সাইন্স- SSC 3.50 & HSC 3.50 ব্যবসায় - SSC 3.50 & HSC 3.50 মানবিক- SSC 3.50 & HSC 3.00   ঘ) একজন ছাত্রছাত্রী কয়টি কলেজে আবেদন করতে পারবে?  ১)একজন ছাত্রছাত্রী প্রথমিক পর্যায়ে একটি কলেজে আবেদন করতে পারবে এবং আবেদনের প্রথম পর্যায়ে কোন কলেজে চান্স না পেলে সে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করবে। কোন স্টুডেন্ট দ্বিতীয় মেধা তালিকায় চান্স না পেলে সে প্রথম রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে ৫ টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। কোন ছাত্রছাত্রী প্রথম রিলিজ স্লিপে কোন কলেজে চান্স না পেলে দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে ৭ টি কলেজে আবেদন করতে পারবে। আবেদন এরপরে ছাত্রছাত...

নাস্তিক কে?

Image
বাংলাদেশের নাস্তিকরা সব সময় দেখবেন বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে।  অথচ বুয়েট,চুয়েট কিংবা কোন মেডিকেল কলেজে আপনি বঙ্গীয় নাস্তিকদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে পাবেন না। বঙ্গীয় নাস্তিকদের ৯৮% লোকের ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে মানবিক শাখা। নাট্যকলা,চিত্রকলা,সঙ্গীত হচ্ছে এদের একাডেমিক শাখা।  মানুষ ল্যাবে বসে বিজ্ঞান চর্চা করে। আর বঙ্গীয় নাস্তিকরা থিয়েটার,কলাভবন আর শাহবাগে বসে গঞ্জিকা সেবন করতে করতে বিজ্ঞান চর্চা করে। আরজ আলী মাতব্বর এদের আইন্সটাইন, হুমায়ুন আযাদ এদের নিউটন,তসলিমা নাসরিন এদের ম্যারি কুরী। ©হিমু

মেঘ বন্ধু

Image
                                                                        মেঘ বন্ধু                          সুজন আলী                প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি,                                  শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি।           বুক ভরা তরঙ্গিণী, ভরা প্রাণ বৃক্ষরজনী,                             হরিৎ ভরা মাঠ,নৌকা ভরা ঘাট,            পদ্ম ভরা ঝিল,নৌকা ভরা জাল,                                    করেছে মদীয় ইন্...

মেয়েদের এত ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন (মুড সুইং) হয় কেন?

Image
মুড সুইং🥀 খুব কম সংখ্যক ছেলে আছে যারা মেয়েদের মুড সুইং এর ব্যাপারে জানে অথবা জেনেও গুরুত্ব দেয় না! আগে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছি এই ব্যাপারটা একটা অভিশাপ। আপনি যদি কখনো দেখেন আপনার মা, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা, স্ত্রী কিংবা কন্যা অকারনে ইমোশনাল হচ্ছে, অযথা রাগ করছে, কাঁদছে, চিৎকার করছে, ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে যাচ্ছে তখন প্লিজ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন! কারন হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মেন্সট্রুয়াল সাইকেল সহ বিভিন্ন কারণে বেশিরভাগ মেয়ে মুড সুইং এ ভুগে। হঠাৎ হঠাৎ তাদের বিহেভ পাল্টে যায়। ওভার রিঅ্যাক্ট করে। আমরা মেয়েটাকে সাইকো বলি। কিন্তু মেয়েটা আসলে সাইকো না। আবেগ, মায়া মমতায় ভরা একটা মানুষ সে। মুড সুইং-এ ভুগা মেয়েগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণী। ওরা নিজের সাথে যুদ্ধ করে আপনার আমার সাথে নরমাল বিহেভ করতে চায়। কিন্তু তা মাঝেমধ্যে পেরে উঠেনা।ওভার রিঅ্যাক্ট করে ফেলে। ওরা ইচ্ছা করে এমনটা করেনা। ওদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার হরমোনের প্রভাবে ওরা এমন করে। হয়তো সে নিজেও জানে না কিভাবে নিজের মুড সুইং কে হ্যান্ডেল করতে হয়......!! ওদের এই মুড সুইং টা বেশিভাগ ক্ষেত্রে তার প্রিয় মানুষগুলার সাথে হয়। ...