রিজিক কম বেশি হয় কেন?

 রিজিক কমবেশি কেন হয়?


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, জমিনে বিচরণকারী যত প্রাণী আছে, সবার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপরে। 

(সুরা হুদ: আয়াত ৬) 

রিজিক মানে শুধু খাদ্য সামগ্রী নয়, বরং জীবন-উপকরণের সবকিছু। অর্থাৎ সব প্রাণীর জীবন-উপকরণের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিজেই গ্রহণ করেছেন। 


আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি দয়ালু, যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন, তিনি প্রবল পরাক্রমশালী। ( সুরা শুরা: আয়াত ১৯)



রিজিক কমবেশি কেন হয়? কেউ পায় কম, কেউবা বেশি। কেউ ধনী হয়, কেউবা গরীব। এর উত্তরও আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন ; আল্লাহ তায়ালা যদি তার সব বান্দাকে প্রচুর রিজিক দিতেন, তাহলে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা (রিজিক) সে পরিমাণ অবতীর্ণ করেন। (সুরা শুরা: আয়াত ২৭)


অপর আয়াতে এসেছে, তারা কি তোমার পালনকর্তার অনুগ্রহ বণ্টন করে?( না, বরং ) আমিই তাদের মধ্যে রিজিক বণ্টন করি পার্থিব জীবনে এবং তাদের একজনের মর্যাদা অপরজনের ওপরে উন্নত করেছি; যেন তারা একে অন্যকে সেবক রূপে গ্রহণ করতে পারে। (সুরা জুখরুফ: আয়াত ৩২)


আরও এরশাদ হয়েছে, তিনিই তো তোমাদের জন্য জমিনকে সুগম করে দিয়েছেন; সুতরাং তোমরা এর পথে-প্রান্তরে বিচরণ কর এবং তার রিজিক থেকে আহার কর। আর তার নিকটই তোমাদের পুনরুত্থান। ( সুরা মুলুক : আয়াত ১৫)


আল্লাহ তায়ালা বান্দার তাকদিরে যা লিখে রেখেছেন এবং যতোটুকু লিখে রেখেছেন, তা সে ততোটুকু পাবেই। 

চাই সে অক্ষম হোক বা সক্ষম। 


অনেক সময় এমন হয়, কোনো কারণে অফিসে নির্ধারিত বোনাস আমি পেলাম না, না পেয়ে বললাম, ইস,একটুর জন্য বা এই কাজের জন্য বোনাসটা পেলাম না। আসলে বোনাস আমার তাকদিরেই ছিল না। আল্লাহ তায়ালা আমার ভাগ্যেই রাখেননি। রাখলে আমি অবশ্যই পেতাম। 


রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পৃথিবীর সব মানুষ মিলে তোমার ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতোটুকু আল্লাহ তায়ালা চান। তেমনিভাবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে যতোটুকু আল্লাহ তায়ালা চান।

Comments

Popular posts from this blog

কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না কথাটি সত্য নয়।

ভালো মানুষের কদর নাই?

Blogger App এসে গেছে!