লকডাউন ও নারী
লকডাউন ও নারী😩
Lockdown মানেই ভালো কিছু এমন টা ভাবাও বোকামি। Lockdown এর ফলে যেমন covid-19 এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত থাকে অন্যদিকে ঠিক তেমনি নিয়ন্ত্রিত থাকে নারী ও শিশুদের অধিকার!
করোনা মহামারির এই সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি বাড়ছে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক চাপ। আর এই চাপ মোকাবিলায়ও চলছে নিরন্তর লড়াই। শ্রেণি-পেশা-বয়স-লিঙ্গ-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য করোনার এই সংকট নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে দিয়েছে।
সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো,
অনানুষ্ঠানিক শ্রমখাতে প্রায় ৭০% নারী। কোভিড-১৯ এর সময়ে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি! এর মধ্যে আছেন কৃষিকাজের সাথে জড়িত শ্রমিক, গৃহকর্মে, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী, নির্মাণকাজে যুক্ত, পোশাক শিল্পে ও হস্তশিল্পে নিয়োজিত। ফলে দুর্যোগে বেড়েছে নারীর প্রতি নানা ধরনের বৈষম্য, বঞ্চনা, নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা, বেড়েছে মানসিক বিপর্যয়।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএফপিএ এবং এভেনার হেলথ, জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ও অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশে গত তিন মাসের লকডাউনে পারিবারিক সহিংসতা ২০ শতাংশ বেড়েছে। ফ্রান্সে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ৩৬%, অস্ট্রেলিয়ায় ২০% শতাংশ। ভারতে দ্বিগুণ এবং তিউনিশিয়ায় বেড়েছে ৫ গুণ।
বাংলাদেশ এ এই চিত্র ভিন্ন নয়,
জরিপে অংশগ্রহণকারি চার হাজার ২৪৯ শিশুর মধ্যে ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বাল্যবিয়ে হয়েছে ৩৩ টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২ টি। চারটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহৃত হয়েছে দুই জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় ১০ টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
অন্যদিকে, স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৪৮ নারী, মানসিক নির্যাতনের শিকার দুই হাজার আট, যৌন নির্যাতনের শিকার ৮৫ জন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক হাজার ৩০৮ জন নারী। এর বাইরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন চার জন নারী, হত্যা করা হয়েছে এক জনকে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে ২০ জন নারীকে।
সব থেকে ভয়ের বিষয় হলো,
জরিপে অংশ নেয়া এক হাজার ৬৭২ জন নারী এবং ৪২৪ টি শিশু আগে কখনাে নির্যাতনের শিকার হয়নি৷ শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ ভাগ তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর নারীরা বেশির ভাগই স্বামীর হাতে।
পরিশেষে,
সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ, দাতাগোষ্ঠী, বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া, যুব সংগঠন, মানবাধিকার ও নারী অধিকার সংগঠনগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ পারে নারীকে মুক্তি দিতেে।
তাছাড়া সহমর্মিতা আর সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে নারীর অধিকার।
Article rewritten by md shahadat hossain
Source of information: internet/newsreport
Comments